পাখি সব করে রব, রাতি পোহাইল!
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি: ছড়াকার মদনমোহন তর্কালঙ্কার লিখেছিলেন, ‘পাখি সব করে রব, রাতি পোহাইল। কাননে কুসুম কলি ফুটিল।’ চলনের পাখি নিয়ে তর্কাবাবুর ছড়াটি মনে উঁকি দিল(কাট হবার কথা যেনেও)। প্রতি বছরের মতো এবারও শীতের আগেই চলনে অতিথি পাখি আসতে শুরু করেছে। পাখি শিকারীদের অপতৎপরতাও দেখা মিলছে। শিকার করা হচ্ছে পাখি নানা কৌশলে। এসব পাখি হাট-বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি না হলেও নির্দিষ্ট কিছু স্থানে বিক্রি হচ্ছে। আর সৌখিন শিকারীরাও বন্দুকের নল পরিস্কার করছে।
নানা প্রজাতির শীত পাখি এখনও চলনবিলে আসে। আপন পাখি ডাহুক, সারস, বেলেহাঁস, রাতচোঁরা, বুনোহাঁস, কানবক, কুঁজো বক, পানকৌড়ি, চ্যাগা, পিয়ংসহ নাম না জানা বিচিত্র বর্ণের পাখি। কলকাকলিতে মুখরিত হচ্ছে বৈকি চলন। সন্ধ্যায় বিলপাড়ের গ্রামের বড়বড় গাছ, বাঁশঝাড়ে অবস্থান করছে পাখির দল।
ঢের আগে বিলপাড়ে ছিল বড়বড় বটবৃক্ষ, সেখানেই থাকতো পাখি। সকল চাটমোহর উপজেলার বিলকুড়ালিয়া, ডিকশি বিল, খলিশাগাড়ি বিল, আফরার বিল, বগা বিল, সমাজবিলসহ অন্যান্য বিলে পাখি শিকার চলছে। সরকারের বন্য পশু-পাখি সংরক্ষণ আইনে পাখি শিকার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু আইন থাকে আনমনে, প্রশাসনও ব্যস্ত ত্রয়োদশ নিয়ে।
বিলের জীববৈচিত্র রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই মূলত চলনবিলে পাখির বিচরণ আর আগের মত নেই। আগের মত দীর্ঘসময় পানি থাকে না। এছাড়া কৃষি আবাদে যত্রতত্র কীটনাশক ব্যবহার করায় পাখিসহ বিলের জীববৈচিত্র হুমকির মুখে।
দি বার্ডস সেফটি হাউজের চেয়ারম্যান মামুন বিশ্বাস বলেন, মৎস্য ভান্ডার খ্যাত চলনবিল অঞ্চলে স্বেচ্ছাসেবীরা শিকার করা পাখি অবমুক্ত করলেও তৃণমূল পর্যায়ে সরকারি-বেসরকারি সমন্বয়ের অভাবে বিলে স্থায়ীভাবে পাখি শিকার বন্ধ করা যাচ্ছে না।
পোস্ট লিংক : https://karatoa.com.bd/article/146680