চলনবিলে শুরু হয়েছে বিনাহালে রসুন চাষ
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জ, নাটোরও পাবনার মাঝদিয়ে প্রবাহিত চলনবিল। শস্য ভাণ্ডারখ্যাত চলনবিল জুড়ে চলছে এখন বিনা হালে রসুন চাষ। বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় এখন এই এলাকার চাষিরা স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন রসুন চাষে। তাদের যেন দম ফেলার সময় নেই। কোন রকম হালচাষ ছাড়াই রসুন রোপণ করছেন তারা।
জানা গেছে, এই অঞ্চলে প্রতিবছরই বন্যায় আমনের ব্যাপক ক্ষতি হয়। কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাসে বিল থেকে পানি নেমে গেলে এই ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতেই জমিতে বিনাচাষে রসুন রোপণের ধুম পড়েছে নাটোরের গুরুদাসপুর, সিংড়া, পাবনার, ভাঙ্গুড়া, চাটমোহর, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া, রায়গঞ্জ, তাড়াশ উপজেলার মাগুড়া বিনোদ, নাদৌসৈয়দপুর, হামকুরিয়া, সগুনাসহ বিভিন্ন এলাকায়।
ইতোমধ্যেই তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের কাটাবাড়ি, নওখাদা, হেমনগর, চরখোকশাবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় রসুন লাগানো শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই ১০ হেক্টর জমিতে রসুন লাগানো হয়েছে। কাটাবাড়ি গ্রামের গ্রামের কৃষক আবু সাইদ বলেন, বর্তমানে বীজ রসুন ২২০ টাকা কেজি দরে কিনে পলি জমা ভেজা মাটিতে বিনা চাষে সারিবদ্ধভাবে রসুনের কোয়া রোপণ করা হচ্ছে।
এতে একজন শ্রমিক দিন হাজিরা ৫শ’/৫৫০ টাকা করে নিয়ে থাকেন। রোপণকৃত রসুনের ওপর দিয়ে ধানের নাড়া (খড়) বিছিয়ে দেওয়া হয়। রোপণের প্রায় ১২৫ দিন পর রসুন তোলা যায়। হেমনগর গ্রামের কৃষক আবু বক্কার জানান, প্রতি বছরই এই বিলে বন্যায় ধানের ক্ষতি হয় আর এই ক্ষতির কিছুটা পুষিয়ে নিতে আমরা কম খরচে রসুন আবাদ করি। এ বছর ১০ বিঘা জমিতে রসুনের আবাদ করবো। সবকিছু ঠিক থাকলে আশা করছি ভালো ফলন ও ভালো দাম পাব।
সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক একেএম মঞ্জুরে মওলা বলেন, চলনবিলের বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিনাচাষে রসুন রোপণ হয়েছে। বিল এলাকার বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে ভোজা মাটিতে এ রসুন রোপণ করা হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারও রসুনের বাম্পার ফলন হবে।
পোস্ট লিংক : https://karatoa.com.bd/article/146296