দেশের মানুষ ভোট দিতে যেতে আর ভয় পাবে না : ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের মানুষ ভোট দিতে ভয় পাবে কেন? মানুষ তার অধিকার প্রয়োগ করতে ভয় পাবে কেন?। আমরা সত্যের সাথে লড়াই করেছি। আপনার আজকে যে সুযোগ তৈরি হয়েছে সেই অধিকারটাকে প্রয়োগ করুন। সঠিক অর্থে কাজে লাগান। জনগণের পছন্দমত প্রতিনিধিত্ব নির্বাচন করুন। গতকাল সোমবার রাতে ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল অতীতের দায়িত্ব পালনকালের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমার অতীত যা বলে সেটা হলো, আমি আমার কাজের ব্যাপারে অনেক আন্তরিক। আমরা দীর্ঘদিন এখানে রাজনীতি করেছি। এখানে রাজনীতি করে নতুন বাড়ি-গাড়ি ইত্যাদি করিনি, আমরা আমাদের বাপের জমি বিক্রি করে রাজনীতি করেছি। এ বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে কিন্তু।
আমাদের দেখতে হবে কে কোথায়, কিভাবে কাজ করছে। আমি জানি আমি ক্ষমতায় না গেলে আপনাদের জন্য কিছু করতে পারবো না। কোন কোন জেলায় দৈনিক ৪/৫টি পত্রিকা আছে। কিন্তু ঠাকুরগাঁওয়ে মাত্র ২টি পত্রিকা। আরও পত্রিকা কীভাবে বাড়বে সে বিষয়টি লক্ষ্যণীয়। আমাকে আপনারা সাহায্য করেন, যেনো আমি জনগণের কাছে ঠিক মতো রি-প্রেজেন্ট করতে পারি।
ইতোপূর্বে তিনি মন্ত্রী থাকাকালীন বিভিন্ন কাজ করছেন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি ২০০১ সালে মন্ত্রী ছিলাম। এসময়টা আমি চেষ্টা করেছি ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কৃষকদের বিষয়টি আমার কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ তাদের কাছে পানির সমস্যাটি অনেক বড় ছিল। যেহেতু বড় নদী নেই সেক্ষেত্রে সেই বিষয়ের দিকে একটু বেশি নজর দেই। ওই সময় বরেন্দ্র বহুমুখী প্রকল্প আনা হয়।
ঠাকুরগাঁওয়ে কলকারখানা গড়ে তোলার দরকার ছিল। এ কারণে ব্যক্তিগত উদ্যোগে বেসরকারি উদ্যোগে কাজী ফার্মসকে এখানে নিয়ে আসি। সেখানে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। সব মিলিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের রাজনৈতিক, ক্রীড়াঙ্গন, সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আমি সব সময় থাকার চেষ্টা করেছি। আপনারা সব সময় আমাকে সহযোগিতা করেছেন। আপনাদের সাংবাদিকদের বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে, আমরা যদি সরকারে যেতে পারি সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করবো।
ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মির্জা ফয়সল আমীন, সাধারণ সম্পাদক মো. পয়গাম আলী, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন, দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশিদ, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আব্দুল হামিদ, প্রেস ক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী প্রমুখ।
পোস্ট লিংক : https://karatoa.com.bd/article/146219