বগুড়ার ধুনটে নির্মাণাধীন ব্রিজের রড কেটে বিক্রির অভিযোগ সত্য প্রমাণিত
ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার ধুনট উপজেলায় গোসাইবাড়ি সাতমাথা-জোড়শিমুল সড়কের মানাস নদীর ওপর প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন ব্রিজের রড কেটে বিক্রির অভিযোগ তদন্তে সত্যতার প্রমাণ মিলেছে। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) বিকেলে সরেজমিন তদন্ত করেন এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী বখতিয়ার হোসেন। তিনি অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলজিইডি’র বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে সুপারিশসহ পত্র পাঠিয়েছেন।
নির্মাণাধীন ব্রিজের রড কেটে গত শনিবার বিকেলে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজন। বিক্রি করা রড পরিবহনের সময় স্থানীয়রা তা হাতেনাতে আটক করে উপজেলা প্রকৌশলীকে জানান। এর আগে ২০ সেপ্টেম্বর একই কৌশলে ব্রিজের রড কেটে বিক্রি করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন। ওই সময় উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে অভিযোগ করলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গোসাইবাড়ি সাতমাথা-জোড়শিমুল সড়কের মানাস নদীর কুটির ঘাট এলাকায় নির্মাণাধীন সেতুর দৈর্ঘ্য ৬০ মিটার। সেতুর প্রস্থ ৭.৩১ মিটার। সেতুটি ১২৮টি পাইলিংয়ের ওপর নির্মাণ করা হবে। এই সেতু নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পেয়েছেন ইথেন এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
গত ১২ মার্চ ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। সেতুর নির্মাণ কাজ ১৯ মার্চ শুরু করা হয়। ইতিমধ্যে ১২৮টি পাইলিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। প্রতিটি পাইলিংয়ের দৈর্ঘ্য ১৫ মিটার, যার পুরো অংশই মাটির নিচে স্থাপন করার কথা।
তবে স্থানীয়রা জানান, মাটির নিচে পাইলিংয়ের পুরো অংশ না ঢুকিয়ে ১০ থেকে ১২ মিটার অংশ ঢুকানো হয়েছে। আর পাইলিংয়ের উপরের অবশিষ্ট অংশ ভেঙে রড বের করে তা কেটে শনিবার বিকেলে স্থানীয়দের কাছ বিক্রি করা হয়। এছাড়া নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে করে সেতুটি বেশি দিন টেকসই হবে না।
এ বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার আলমগীর হোসেন বলেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীর পরামর্শে রডগুলো বিক্রি করা হয়েছে। তবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী মাহফুজুল হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী বখতিয়ার হোসেন বলেন, নির্মাণাধীন ব্রিজের পাইলিংয়ের রড কাটা কিংবা বাজারে বিক্রির কোন সুযোগ নেই। স্থানীয়দের অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় ঠিাকাদর প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
পোস্ট লিংক : https://karatoa.com.bd/article/145966