ঢাবিতে ‘ইকবাল ও নজরুলের দর্শনে জাগরণের দর্শন’ বিষয়ক দুইদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু

ঢাবিতে ‘ইকবাল ও নজরুলের দর্শনে জাগরণের দর্শন’ বিষয়ক দুইদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু

ঢাবি প্রতিনিধি: ‘ইকবাল ও নজরুলের দর্শনে জাগরণের দর্শন’ শীর্ষক দুইদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন  শুরু হয়েছে।আজ রোববার (৯ নভেম্বর) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে  এ সম্মেলন শুরু হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উর্দু বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. গোলাম মাওলা।

উদ্বোধনী পর্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—ঢাবির কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থট-এর মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল আজিজ এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাসান এবং ভারতের জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. খাজা মো. একরামুদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য দেন সম্মেলনের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. ইসরাফিল এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী।

জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহিদ এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতাও পালন করা হয়।

আয়োজক সূত্র জানায়, সম্মেলনে ১৮টি দেশ থেকে প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। দুই দিনে ১৮টি সেশনে মোট ১৩৩টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে।  উপাচার্য: ‘জাগরণের দর্শন আজও সময়োপযোগী’ উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জগৎ মূলত মেধা, উদ্ভাবন ও যৌথ জ্ঞানচর্চার নেটওয়ার্কের মধ্য দিয়ে বিকশিত হয়। এমন আন্তর্জাতিক সম্মেলন সেই নেটওয়ার্ক ও সহযোগিতার ক্ষেত্রকে আরও সমৃদ্ধ করে। তিনি বলেন, এটি কেবল একাডেমিক আলোচনা নয়, মানবিক মূল্যবোধ ও নেটওয়ার্কিং-এরও অনন্য উদযাপন। এমন আয়োজন পারস্পরিক বন্ধনকে সুদৃঢ় করে।

ইকবাল ও নজরুল প্রসঙ্গে উপাচার্য আরও বলেন, দুই মহান চিন্তাবিদের জীবন ও দর্শন আমাদের সমাজ, সাহিত্য ও মানবিক চেতনায় গভীর প্রভাব রেখে গেছে। সম্মেলনের আলোচনায় তাদের চিন্তা থেকে নতুন অন্তর্দৃষ্টি ও বাস্তব দিকনির্দেশনা পাওয়া যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সামাজিক-রাজনৈতিক ইতিহাসে ওই অভ্যুত্থান স্থায়ী প্রভাব রেখে গেছে। তাই ‘জাগরণের দর্শন’ বিষয়টি বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং তাৎপর্যপূর্ণ।

উপাচার্য বলেন, “এই সম্মেলন থেকে আমরা এমন কিছু বাস্তব শিক্ষা পাবো, যা আমাদের জ্ঞানকে কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগে সহায়ক হবে। মানবতার কল্যাণে জ্ঞান ও সহযোগিতার এই যাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবে

 

পোস্ট লিংক : https://karatoa.com.bd/article/145904