মেসির জোড়া গোল ও অ্যাসিস্টে সেমিফাইনালে মিয়ামি
স্পোর্টস ডেস্ক : ফোর্ট লডারডেলে একক নৈপুণ্য দেখালেন লিওনেল মেসি। জোড়া গোল আর দুটি অ্যাসিস্টে শনিবার রাতে ন্যাশভিলে এসসিকে ৪-০ গোলে হারিয়ে পূর্বাঞ্চলীয় কনফারেন্সের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেলো তার দল ইন্টার মিয়ামি।
মেসি প্রথমার্ধেই করেন দুটি গোল, এরপর দ্বিতীয়ার্ধে তাদেও আয়েন্দের দুটি গোলের অ্যাসিস্ট করেন এই আর্জেন্টাইন তারকা। পুরো সিরিজে মিয়ামি ৮-৩ ব্যবধানে ন্যাশভিলকে হারালো, আর সেই আটটি গোলের সবকটিতেই মেসি সরাসরি ভূমিকা রাখলেন। তিনি করলেন পাঁচটি গোল ও তিনটি অ্যাসিস্ট!
এ জয়ের ফলে পূর্বাঞ্চল সেমিফাইনালে এফসি সিনসিনাতির মুখোমুখি হবে ইন্টার মায়ামি। নভেম্বরের ২২ বা ২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে সেই ম্যাচ। নিয়ম অনুযায়ী এখন থেকে প্রতিটি ম্যাচ হবে নকআউট ফরম্যাটে। মেসি, যিনি চলতি মৌসুমে গোল্ডেন বুট জিতেছেন, আবারও এমএলএসের বর্ষসেরা খেলোয়াড় (এমভিপি) হওয়ার সবচেয়ে বড় দাবিদার। যদি তিনি জেতেন, তবে তিনিই হবেন প্রথম খেলোয়াড় যিনি টানা দুই বছর এ পুরস্কার জিতলেন। সম্প্রতি তিনি ক্লাবের সঙ্গে ২০২৮ সাল পর্যন্ত নতুন তিন বছরের চুক্তিও সম্পন্ন করেছেন।
ইন্টার মিয়ামির ইতিহাসে এটাই প্রথমবার যে তারা এমএলএস প্লে-অফের সেমিফাইনালে উঠল। দক্ষিণ ফ্লোরিডার আগের এমএলএস দল মিয়ামি ফিউশন ২০০১ সালে সেমিফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছিল, তবে ইন্টার মিয়ামির জন্য এটি সম্পূর্ণ নতুন অধ্যায়। গত বছর মেসির আগমনের প্রথম মৌসুমেই ঘরে বসে প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নিয়েছিল মিয়ামি, তবে এবার সেই ভুল করেননি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন এই ফরোয়ার্ড। ম্যাচের ১০তম মিনিটেই চারজন ন্যাশভিলে ডিফেন্ডার ঘিরে রেখেও বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক শটে গোল করেন মেসি, দলকে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। ৩৯তম মিনিটে মাতেও সিলভেত্তির পাস থেকে সহজেই নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন তিনি, স্কোরলাইন তখন ২-০।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ন্যাশভিলে গোলের দেখা পেয়েছিল বলে মনে হলেও, স্যাম সুরিজের গোলটি ফাউলের কারণে বাতিল হয়ে যায়। এরপরই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণ মিয়ামির হাতে চলে আসে। শেষ পর্যন্ত মেসির দুটি গোল ও দুটি অ্যাসিস্টে ৪-০ ব্যবধানে জয় পায় ইন্টার মিয়ামি এবং এখন তারা মাত্র তিনটি জয়ের দূরত্বে এমএলএস কাপ ট্রফি থেকে।
পোস্ট লিংক : https://karatoa.com.bd/article/145882