পানি পান করার সময়ে যে দোয়া পড়তে হয়
পানি পান করার পর এই দোয়া পড়ুন:
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي سَقَانَا مَاءً عَذْبًا فُرَاتًا بِرَحْمَتِهِ وَلَمْ يَجْعَلْهُ مِلْحًا أُجَاجًا بِذُنُوبِنَا
উচ্চারণ: আলহাম্দু লিল্লাহিল্লাজি সাকানা আজবান ফুরতান বিরহমাতিহি ওয়া লাম ইয়াজআলহু মিলহান উজাজান বিযুনুবিনা।
অর্থ: সকল প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার জন্য যিনি আমাদেরকে তার রহমতে সুস্বাদু, সুমিষ্ট পানি পান করিয়েছেন এবং আমাদের গুনাহের কারণে তা তিক্ত ও লবণাক্ত করেননি। (শুআবুল ইমান লিলবায়হাকি: ৪১৬২)
পানি পান শুরু করার আগে ‘বিসমিল্লাহ’ বলে আল্লাহর নামে পান করা শুরু করুন। ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ অর্থাৎ ‘পরম করুণাময় দয়াময় আল্লাহর নামে শুরু করছি’ বলতে পারেন অথবা বলতে পারেন ‘বিসমিল্লিাহি ওয়া আলা বারাকাতিল্লাহ’ অর্থাৎ আল্লাহর নামে এবং আল্লাহর বরকতের ওপর পান করা শুরু করছি’।
রাসুল (সা.) বলেছেন, যে খাবারে বিসমিল্লাহ পড়া হয় না, সে খাবারে শয়তানের অংশ থাকে। সেই খাবার মানুষের সঙ্গে শয়তানও খায়। (সহিহ মুসলিম: ৫৩৭৬) তাই ‘বিসমিল্লাহ’ যেন কোনোভাবেই ছুটে না যায় সেদিকে বিশেষ মনোযোগ থাকা দরকার। পানি পান করার শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ’ পড়তে ভুলে গিয়ে খাওয়ার মাঝখানে মনে হলে বলুন, ‘বিসমিল্লাহি আওয়ালাহু ওয়া আখিরাহু’ অর্থাৎ ‘এর শুরু ও শেষ আল্লাহর নামে’।
আল্লাহর স্মরণ ও দোয়া মুমিনের জীবনের সার্বক্ষণিক আমল। মুমিনের জীবনের কোনো অংশ বা কাজই আল্লাহর স্মরণ থেকে দূরে থাকা সমীচীন নয়। খাবার খাওয়া ও পানি পান করা আমাদের প্রতিদিনের রুটিনের অপরিহার্য অংশ। বেঁচে থাকার জন্য প্রতিদিন বেশ কয়েক বার আমাদের খাবার খেতে হয়, পানি পান করতে হয়।
খাওয়া ও পান করার সময় আল্লাহকে স্মরণ করা ও তার নেয়ামতের শোকর আদায় করা আমাদের কর্তব্য। আল্লাহর স্মরণে সিক্ত হলে আমাদের খাবার-পানীয় যেমন বরকতময় হতে পারে, পাশাপাশি খাওয়া ও পান করা ইবাদতও হয়ে উঠতে পারে। রাসুল (সা.) বলেছেন, একজন মুসলমান তার সব কাজে সওয়াবের অধিকারী হয়, এমনকি খাবারের যে লোকমা সে খায় তাতেও সে সওয়াব পায়। (মুসনাদে আহমদ: ১৫৩১)
পোস্ট লিংক : https://karatoa.com.bd/article/145841