বগুড়ার বাজারেও সেঞ্চুরি পার পেঁয়াজের   

বগুড়ার বাজারেও সেঞ্চুরি পার পেঁয়াজের   

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ার বাজারেও পেঁয়াজের দাম সেঞ্চুরি পার করেছে। গত সপ্তাহেও শহরের বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি, সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। গত মাসে মুড়িকাটা পেঁয়াজ লাগানো হয়। কিন্তু কয়েকদিন আগের টানাবৃষ্টিতে সেসব পেঁয়াজ গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। এমন অবস্থায়ও পেঁয়াজের দাম বাড়ার জন্য দায়ী বলে মনে করছেন তারা। 

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, এক মাসের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রায় ৫২ শতাংশ। এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, দেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা ২৫ থেকে ২৭ লাখ টন। দেশীয় উৎপাদন ৩৫ থেকে ৩৭ লাখ থেকে লাখ টন। পেঁয়াজ সংরক্ষণের সময় প্রক্রিয়াজাতকরণে নষ্ট হয়ে যায় ২৫ শতাংশের মতো। ফলে প্রতি বছর ছয় থেকে সাত লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। কিন্তু এখন আমদানি বন্ধ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার বগুড়া শহরের বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। পাঁচ-ছয় দিন আগে এই দাম ছিল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। আর নতুন পাতাপেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি। 

ফতেহ আলী বাজারের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান পুটু বলেন, প্রতি বছর এসময় পেঁয়াজের কিছুটা সংকট থাকে। কয়েক দিন ধরেই মোকামে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে, আমদানিও বন্ধ রয়েছে। এ কারণে খুচরা বাজারে দাম বাড়ছে। আমদানি না হলে দাম আরও বাড়তে পারে। 

বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, কৃষকের ঘরে পেঁয়াজ কমে গেছে। পেঁয়াজ চলে গেছে মজুতদারদের হাতে। প্রতিবছর এই সময় পেঁয়াজের সংকট দেখিয়ে দাম বাড়ানো হয়। এবারও মজুতদাররা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজ আটকে রেখে দাম বাড়াচ্ছে। সরকারি সংস্থাগুলোকে এখনই তদারকি ও নজরদারি বাড়াতে হবে। সারাদেশে কী পরিমাণ পেঁয়াজ মজুত আছে তা খতিয়ে দেখার জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানান তারা। তারা আরও বলছেন, এটি দামের কোনো স্বাভাবিক ওঠানামা নয় বরং একটি সিন্ডিকেট পরিকল্পিতভাবে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়েছে। 

 

 

 

পোস্ট লিংক : https://karatoa.com.bd/article/145613