স্বামীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি স্ত্রীর!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ঘটনাটি ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তেলেঙ্গানার রাজধানী হায়দরাবাদের। স্বামীকে অপহরণ করার অপরাধে স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ওই নারীর নাম এম মাধবীলতা আর তার স্বামীর নাম মান্ত্রি শ্যাম। স্বামীকে অপহরণ করে ১ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিলেন স্ত্রী। এই অভিযোগে মান্ত্রি শ্যামের স্ত্রীসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের কাছ থেকে তিনটি গাড়ি, দুটি সাইকেল এবং বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। হায়দরাবাদের পুলিশ কর্মকর্তাদের মতে, প্রধান অভিযুক্ত মাধবীলতাসহ আরো নয়জন মান্ত্রি শ্যামকে অপহরণের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২৯শে অক্টোবর ফাতিমা নামে এক নারীর কাছ থেকে এক নিখোঁজ ব্যক্তির বিষয়ে আম্বারপেট পুলিশ অভিযোগ পেয়েছিল। ৩১শে অক্টোবর শ্যাম তার অপহরণকারীদের হাত থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
শ্যাম পুলিশকে জানিয়েছে, লতা ষড়যন্ত্রকারীদের ১ কোটি টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। অপহরণকারীরা তাকে একাধিক গাড়িতে করে বিজয়ওয়াড়ায় নিয়ে যায় এবং ৩০ অক্টোবর মুক্তিপণ দাবি করে। পরের দিন, তারা তাকে বানজারা হিলসের একটি ব্যাংক থেকে মুক্তিপণ তুলতে সাহায্য করার জন্য হায়দরাবাদে নিয়ে আসে, কিন্তু টাকা সংগ্রহের আগেই তিনি পালিয়ে যান। টাকার জন্য শ্যাম বাড়িতে যোগাযোগ করেন এবং টাকা পাঠাতে বলেন। বাড়ি থেকে টাকার চেক পাঠানো হয়। সেই চেক ভাঙানোর জন্য শ্যামকে ব্যাংকে নিয়ে যায় বিনয়, প্রসাদ ও পরশুরাম। সেই ব্যাংক থেকেই পালান শ্যাম। বানজারা হিলসের ফ্ল্যাট থেকে পালিয়ে সোজা থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন শ্যাম। পরে তিনি পুলিশকে একটি বিস্তারিত বিবৃতি দেন, যেখানে তার স্ত্রী মাধবীলতাকে অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে উল্লেখ করেন। শ্যামের ওপর নজরদারি এবং অপহরণ করতে ভুন্ডি দুর্গা বিনয় (৩২) নামে একজনকে ভাড়া করা হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। বিনয়, কট্ট দুর্গা প্রসাদ এবং কাটামণি পুরুষোত্তমের সঙ্গে মিলে পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করেন মাধবীলাতা। ভুক্তভোগীর পালিয়ে যাওয়ার পরে তাদের মুক্তিপণ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
এ বিষয়ে আম্বারপেট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং পুলিশ বিষয়টি আরো তদন্ত করছে। কর্মকর্তারা জানান, মাধবীলতার মূল লক্ষ্য ছিল স্বামীর যাবতীয় সম্পদ নিজের নামে লিখিয়ে নেওয়া ও তাকে হত্যা করা। সূত্র : এনডিটিভি
পোস্ট লিংক : https://karatoa.com.bd/article/145464