বগুড়ার ধুনটে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকেও নিয়মিত বেতন তোলেন শিক্ষক
ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : ধুনট উপজেলায় ইসলামপুর (ঈশ্বরঘাট) দাখিল মাদ্রাসার শরীর চর্চা শিক্ষক সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে নিয়মিত বেতনভাতা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। তিনি মাসে একদিন কর্মস্থলে গিয়ে হাজিরা খাতায় পুরো মাসের সই করে ইএফটির (ইলেকট্রনিক ফান্ড টান্সফার) মাধ্যমে ব্যাংক থেকে বেতনের টাকা তুলছেন।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকাল ১১টায় সরেজমিন ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শরীর চর্চা শিক্ষক সাইদুর রহমানকে উপস্থিত পাওয়া যায়নি। এসময় শিক্ষকদের হাজিরা খাতা পর্যবেক্ষণে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের প্রমান মিলেছে। হাজিরা খাতা অনুযায়ী তিনি অক্টোবর মাসে ১০দিন অনুপস্থিত ছিলেন এবং ৪ নভেম্বর পর্যন্ত একদিনও কর্মস্থলে উপস্থিত হননি। তবে এ বিষয়ে ওই মাদ্রাসার সুপার লিখিতভাবে বার বার সতর্ক করলেও শরীর চর্চা শিক্ষক কর্মস্থলে উপস্থিত হচ্ছেন না। সর্বশেষ ৩০ অক্টোবর তাকে সতর্ককরণ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কিন্ত তাতেও কাজ হয়নি।
মাদ্রাসা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের রাঙ্গামাটি গ্রামের আবু বক্করের ছেলে সাইদুর রহমান ২০১৪ সালের ২৫ ফ্রেরুয়ারি ইসলামপুর (ঈশ্বরঘাট) দাখিল মাদ্রাসায় শরীর চর্চা শিক্ষক পদে যোগদান করেন। তিনি স্থানীয় এক প্রভাবশালী (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) আওয়ামী লীগ নেতার নিকটাত্মীয়। একারণে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকেও প্রতিমাসে নিয়মিতভাবে বেতনভাতা উত্তোলন করেন। কিন্ত অদৃশ্য কারণে ওই সময় মাদ্রাসার সুপার তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। তবে গত বছরে ৫ আগস্টের পর প্রেক্ষাপটের পরির্তন হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন শরীর চর্চা শিক্ষক। ওই মাদ্রসার সুপার বার বার তাকে সতর্ক নোটিশ দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে শরীর চর্চা শিক্ষক সাইদুর রহমান বলেন, পারিবারিক ও আর্থিক সমস্যার কারণে কর্মস্থলে উপস্থিত হতে পারছি না। তবে অল্পদিনের মধ্যেই সমস্যা-সংকট কাটিয়ে নিয়মিত দায়িত্ব পালন করবো। এখানে আমার রুজি-রুটির ব্যাপার রয়েছে, তাই এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
ওই মাদ্রসার সুপার ছদরুল আনাম বলেন, মানবিক দিক বিবেচনা করে তার বিরুদ্ধে আগে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বর্তমানে মাদ্রসায় উপস্থিত হওয়ার জন্য তাকে বার বার সতর্ক নোটিশ করেও কোন কাজ হচ্ছে না। এ বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতিলতা বর্মন বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে বিধিমোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।