জামালপুরে দাবি মেনে নেওয়ায় ইজিবাইক চালকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার

জামালপুরে দাবি মেনে নেওয়ায় ইজিবাইক চালকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার

জামালপুরে দাবি মেনে নেওয়ায় ১০ ঘণ্টা পর ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চালক ও মালিকরা।

আজ রোববার (২ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় তাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়া হলে আন্দোলনকারীরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন। এরপর শহরে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।

আন্দোলনের প্রেক্ষিতে মেনে নেওয়া দাবিগুলো হলো- লাল ও সবুজ রঙের ইজিবাইক সপ্তাহে সাত দিন চলতে পারবে। একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে একটি অটোরিকশার নিবন্ধন দেওয়া হবে। পৌরসভার অধীনে নিবন্ধিত কোনো ইজিবাইক পৌরসভার বাইরে যেতে পারবে না এবং বাইরের কোনো ইজিবাইক পৌরসভার ভেতরে চলতে পারবে না। নিবন্ধন ফি কমিয়ে অটোরিকশার জন্য ৩ হাজার টাকা এবং মিশুক গাড়ির জন্য ২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া নতুন করে আর কোনো ইজিবাইকের নিবন্ধন দেওয়া হবে না।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও শর্ত দেওয়া হয়েছে- পৌরসভার অধীনে নিবন্ধিত কোনো ইজিবাইক মহাসড়কে চলতে পারবে না, লাল ও সবুজ রঙ ছাড়া অন্য কোনো ইজিবাইক শহরে চলতে পারবে না, এবং নিবন্ধনবিহীন কোনো ইজিবাইক ধরা পড়লে ২০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। তবে মালবাহী ও রোগী পরিবহনের ক্ষেত্রে এই শর্তগুলো শিথিলযোগ্য।

এর আগে রোববার সকাল থেকে ৫ দফা দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দেয় ইজিবাইক ও রিকশা মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। দুপুর ৩টা থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে তারা বিক্ষোভ শুরু করে। পরে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনায় বসে। প্রায় এক ঘণ্টা আলোচনা শেষে প্রশাসন তাদের দাবিগুলো মেনে নিলে আন্দোলনকারীরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন।

ইজিবাইক চালক খায়রুল ইসলাম বলেন, নতুন করে ইজিবাইকের লাইসেন্স দেওয়ায় আমরা ঠিকমতো যাত্রী পাই না। আবার বাইরের গাড়ি ঢোকার কারণে শহরে যানজট বাড়ে। এখন লাইসেন্স নবায়ন ফি আগের তুলনায় কমানো হয়েছে, এতে আমাদের অনেক সুবিধা হবে।

জামালপুর ইজিবাইক ও রিকশা মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতা শাহ ফতেহ উল্লাহ হামিদী বলেন, দীর্ঘ আলোচনা শেষে প্রশাসন আমাদের দাবিগুলো মেনে নিয়েছে, তাই আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি। আমাদের দাবিগুলো ছিল সম্পূর্ণ যৌক্তিক।

জামালপুর পৌরসভার প্রশাসক মৌসুমী খানম বলেন, ইজিবাইক চালক ও মালিকদের ৫ দফা দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। নতুন করে কোনো ইজিবাইকের নিবন্ধন দেওয়া হবে না। তারা মহাসড়কে ইজিবাইক না চালানোর শর্তও মেনে নিয়েছে। আশা করি এতে যানজট নিরসনসহ চালক, মালিক ও যাত্রী সবাই উপকৃত হবেন।

পোস্ট লিংক : https://karatoa.com.bd/article/145163