বগুড়ায় ৪২ কোটি টাকার সাপের বিষ উদ্ধার ঘটনায় ধরা পড়েনি আর কেউ
স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ায় ৪২ কোটি টাকা মূল্যের সাপের বিষ উদ্ধার এবং এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত আসামি ফেরদৌস ও রমজানের রিমান্ডের শুনানি হবে আগামি ২৩ সেপ্টেম্বর বগুড়া সদর আদালতে। এর আগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি এসআই মো: স্বপন মিয়া বলেন, আগামিকাল এই রিমান্ডের আবেদন শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। তিনি বলেন রিমান্ড পেলে সাপের বিষ উদ্ধার ঘটনায় আরও কারা জড়িত এবং তাদের নেটওয়ার্ক সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা হবে । আসামিরা বর্তমানে জেলা কারাগারে রয়েছে।
জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)’র ওসি মো. ইকবাল বাহার বলেন, উদ্ধার হওয়া সাপের বিষ আসল না নকল তা পরীক্ষা-নীরিক্ষার জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যেই এই বিষ পরীক্ষার জন্য সেখানে ল্যাবে পাঠানো হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে ডিবি পুলিশের একটি টিম শহরের ঠনঠনিয়া শহীদ নগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাপের বিষ কারবারি চক্রের ওই দু’জনকে গ্রেফতার এবং তাদের হেফাজত থেকে একটি বড় কার্টুনভর্তি পাঁচটি কাঁচের জারে রাখা সাপের বিষ উদ্ধার করে। স্মরণকালের মধ্যে বগুড়ায় সাপের বিষ উদ্ধারের ঘটনা এই প্রথম। এ ঘটনায় থানায় ধৃত আসামিদের বিরুদ্ধে সাপের বিষ চোরা চালানের অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় উদ্ধার করা বিষকে কথিত বিষ বলে উল্লেখ এবং সেইসাথে এর দাম ৪২ কোটি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা হলো,বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া মন্ডলপাড়ার আব্দুল মজিদের ছেলে এস.এম.এ ফেরদৌস (৭৪) এবং সূত্রাপুর গোহাইল গ্রামের মৃত আজিম উদ্দিনের ছেলে রমজান আলী (৫৫)। বর্তমানে তারা জেলা কারাগারে রয়েছে।
পোস্ট লিংক : https://karatoa.com.bd/article/140631